ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে জেলা এনজিও সমন্বয় কমিটির সভায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

বিশেষ প্রতিবেদক ::

কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিশাল সমাবেশে ৬৫ হাজার টি শার্ট সরবরাহ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্ল্যাকার্ড, ব্যানারসহ আনুষাঙ্গিক আরো অনেক কিছুর যোগান দেয়া হয়েছে।

সমাবেশটিতে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে সমবেত করার নেপথ্যেও পরিকল্পিতভাবে কাজ করা হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বৃহস্পতিবার জেলা এনজিও সমন্বয় কমিটির সভায় চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য প্রকাশ করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে কিছু দেশি-বিদেশি এনজিও’র বিরুদ্ধে রোহিঙ্গারা যেন স্বদেশমুখি না হয়, সেজন্য প্রত্যাবাসন বিরোধী উসকানি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তিনি এসব এনজিওসহ ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সরকারি হুঁশিয়ারির কথা জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গা শিবিরে দা, খন্তি, কোদাল ও নিড়ানির নামে নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র সরবরাহ দেয়ার বিষয়টিও প্রাথমিকভাবে সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।

শিবিরে এরকম সরবরাহ দেয়ার কাজে জড়িত থাকার দায়ে এরই মধ্যে ‘মুক্তি’ নামের একটি বিতর্কিত এনজিও’র কার্যক্রম এনজিও ব্যুরো বন্ধ করে দিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, পালস নামের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিরোধী আরো একটি বিতর্কিত এনজিওসহ কয়েক ডজন এনজিও’র বিরুদ্ধেও।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত ২৫ আগস্টের রোহিঙ্গা সমাবেশটিতে লোক সমাগমের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এমনকি অস্ত্রশস্ত্র মওজুদের খবরও পেয়েছি। এ ধরনের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন থেকে শুরু করে গোটা দেশবাসী বিব্রতকর বলেও জানান তিনি।

অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। জনগণ এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে আমাদের নিকট জানতে চায়। সেদিনের সমাবেশটির কোনো অনুমতি ছিল কিনা তাও তিনি জানতে চান।

জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, আসলে সেদিনের সমাবেশের কোনো অনুমতি ছিল না।

কক্সবাজার জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরের ঘটনা অশনিসঙ্কেত। বিএনপি-জামায়াত নেপথ্যে থেকে পাকিস্তানি এনজিও নিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।

সভায় সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ ও ফজলুল কাদের চৌধুরীও বক্তৃতা করেন।

সভায় কয়েকটি এনজিও’র প্রতিনিধিরা বলেন, গত ২২ আগস্ট টেকনাফের জাদিমুরা শিবিরের সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের হাতে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুকের হত্যার পর থেকে এলাকার তিনটি শিবিরে এনজিওর কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ্দৌজা সহ সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: